খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. সাইফুল ইসলামের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। জামিন বহাল রাখতে হলে আজ রোববার খুলনার আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে তাকে। তবে তিনি আদালতে হাজির হবেন কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে তিনি উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। ৬ সপ্তাহ পর তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। তার জামিনের মেয়াদ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর ছিল। ছুটি ও আদালত বন্ধ থাকায় তিনি নিম্ন আদালতে হাজির হননি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক আইনজীবী জানান, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৬টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া আইনজীবী সমিতির মৃত সদস্যদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় পৃথক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। ২৮ এপ্রিল ওই জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর তার নিন্ম আদালতে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। ওই দিন তিনি আদালতে উপস্থিত হননি। এরপর সরকারি ছুটি এবং আদালত বন্ধ থাকায় সরকারি কার্যদিবস রোববার হাজির না হলে তার উচ্চ আদালতের জামিন বাতিল হয়ে যাবে।
আইনজীবী সমিতির আরেক সদস্য জানান, এর আগে আরেকটি মামলায় নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার তারিখে আত্মসমর্পণ করেননি সাইফুল ইসলাম। আজ তিনি আত্মসমর্পণ করবেন কিনা আদালতে হাজির হওয়ার আগে বলা যাচ্ছে না।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সচিব এড. নুরুল হাসান রুবা জানান, তিনি একই সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছেন। আত্মসমর্পণের কোনো তথ্য তার জানা নেই।
প্রসঙ্গত, খুলনার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আলোচিত চরিত্র ছিলেন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরে চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি, নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব, আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ গুরুত্বপূর্ণ পদ আকড়ে ছিলেন তিনি। গণঅভ্যুত্থান আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। তবে বিভিন্ন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার তৎপরতা দেখা যায়। তার বড় ছেলে সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
গত ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে আইনজীবী সমিতি থেকে অস্ত্রহাতে ছাত্রদের মিছিলের দিকে ধেয়ে যাওয়ার একটি ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর থেকে সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়ে আসছে ছাত্ররা।
খুলনা গেজেট/এইচ